তিনি আরও বলেন, ‘শুধু ডিভাইসের দিকে নজর দিলেই হবে না, ডিভাইসের কনটেন্টের দিকেও নজর দিতে হবে। কারণ সব ধরনের ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে দরকার নিরাপদ ইন্টারনেট। আর নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে পারলেই দেশ আরও এগিয়ে যাবে। সরকার নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।’
এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, সরকার মোবাইল কেন্দ্রিক সেবার ক্ষেত্রে সবদিকেই ফোকাস দিচ্ছে। বাংলাদেশে তৈরি হবে বিশ্বমানের স্মার্টফোন। সেদিন আর দূরে নয়। এর মধ্যেই অনেক প্রতিষ্ঠান ডিভাইস তৈরি করতে শুরু করেছে। এছাড়াও, বাংলাদেশ ডিভাইস উৎপাদনে যে সুবিধা দেবে যা প্রতিবেশী বা অন্য অনেক দেশ থেকেও পাওয়া যাবে না।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্যামসাং বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মিস্টার স্যাংওয়ান ইউন, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস বাংলাদেশ লিমিটেডের সেলস ডিরেক্টর জুনিয়র সালাহউদ্দীন সানজি, অপ্পো বাংলাদেশের ব্র্যান্ড হেড মিস্টার আইয়োনো, ডিএক্স টেল লিমিটেডের হেড অব রিটেইল অপারেশন জেএম হাসান সাইফ, ভিভো বাংলাদেশের হেড অব প্রোজেক্ট অ্যান্ড অপারেশন মিস্টার অ্যাঙ্গাস, স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের ডিরেক্টর (টেলিকম বিজনেস) সাকিব আরাফাত এবং এক্সপো মেকারের কৌশলগত পরিকল্পনাকারী মুহম্মদ খান।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় ‘স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপো (সামার) ২০১৯’। দেশের ব্যবহারকারীদের আধুনিক স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট কম্পিউটার পরখ করে দেখার ও কেনার সুযোগ করে দিতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিনদিনব্যাপী এই মেলা চলবে শনিবার পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট কম্পিউটার নিয়ে দেশে এক্সপো মেকারের আয়োজনে এটি দ্বাদশ প্রদর্শনী। এবারের মেলায় বিশ্বখ্যাত সব ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট পাওয়া যাচ্ছে। অংশ নিয়েছে স্যামসাং, হুয়াওয়ে, অপ্পো, শাওমি, ভিভো, মটোরোলা, আইফোন, নকিয়া, ম্যাক্সিমাস, রিয়েলমি, ইউমিডিজি, ডিটেল ছাড়াও সুরভী ইন্টারপ্রাইজ, মোবাইল আউটফিটারস ও বিজয়সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও প্রতিষ্ঠান। ব্র্যান্ডগুলো মেলায় বিভিন্ন মডেলের স্মার্টফোন ও স্মার্ট ডিভাইস প্রদর্শন ও বিক্রি করছে। পাওয়া যাচ্ছে মোবাইল অ্যাক্সেসরিজও।