বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনার মধ্য দিয়ে ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৮টা থেকেই ভোটারদের লাইনে দাড়িয়ে ভোট দেয়ার দৃশ্য ছিলো চোখে পড়ার মত। তবে কিছু কেন্দ্রে দেখা যায়, নৌকার এজেন্টরা ভোট কক্ষের গোপন ব্যালট রুমে অবস্থান নিয়েছেন।
এছাড়া প্রথমবারে ইভিএম মেশিনে ভোট দিতে এসে ব্যাপক বিড়ম্বনায় শিকার হচ্ছেন ভোটাররা। এ নিয়ে অস্বস্তিতে আছেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারাও।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দ্বিতীয় ধাপে চলছে ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভা নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ ভোটগ্রহণ।
উত্তর করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার লাইনে দাঁড়ানো খোদেজা আক্তার জানান, তিনিসহ মহিলারা প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। খুব ধীর গতিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
গনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের মহিলা ভোটার হারাধন বিয়া জানান, ইভিএম মেশিনে কিভাবে ভোট দিতে হয় তা জানিনা। ভোটের আগে ইভিএম প্র্যাকটিস জরুরি ছিল বলে দাবি করেন তিনি।
রামানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, নৌকার এজেন্টরা ভোট কক্ষের গোপন ব্যালট রুমে অবস্থান নিয়েছেন।
নৌকার এজেন্ট খালেদা আক্তার ও জাকির হোসেন জানান, ভোটারদের সহযোগিতার জন্যে বারবার গোপন কক্ষে আসতে হচ্ছে। ভোটাররা ফ্রিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার পর সহযোগিতার জন্যে আমরা এ কক্ষে রয়েছি।
আবদুল কাদের নামের এক ভোটার জানান, তিনি ডালিম মার্কায় ভোট দিতে চাইলে ভেতরে থাকা এজেন্টের লোকটি আমাকে সহযোগিতার কথা বলে উটপাখি মার্কায় ভোট দিয়ে দেন।
গনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার গোলাম কিবরিয়া বলেন, ভোটারদের কাছে ইভিএমের ধারণা নতুন। তাই বিড়ম্বনাও বেশি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রচারণা কম হওয়ায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, ইভিএমে ভোট দেওয়ার বিষয়ে নানাভাবে প্রচারণা চালানো হয়েছে। তারপরও কোনো ভোটার কিছু না বুঝলে সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের সহায়তা নিতে পারেন। কোন প্রার্থীর এজেন্ট গোপন কক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না।