চলতি মাসেই ২৬ তারিখের মধ্যে ভারত থেকে করোনাভাইরাসের টিকা আসার কথা রয়েছে। সেরামের ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন খবর শোনা গেলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিন ভারত কিছু ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে উপহারসরূপ দেবে বলেও জানান তিনি।
শিগগিরই করোনার ভ্যাকসিন হাতে পাবে বাংলাদেশ। এই মুহূর্তে গোটা স্বাস্থ্য খাতের ব্যস্ততা ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনায়। এমন বাস্তবতায় সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটিতে সংবাদিকদের মুখোমুখি হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। নিজের বক্তব্যের শুরুতেই করোনাকালীন স্বাস্থ্য খাতে নানা অনিয়ম অব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে নিজের পক্ষে সাফাই দেন মন্ত্রী। জানান দুর্যোগ মোকাবিলার পাশাপাশি ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্বাস্থ্যখাত, নেই শয্যা কিংবা আইসিইউ সংকট।
মন্ত্রী বলেন সপ্তাখানেকের মধ্যেই দেশে আসছে ভারতের সেরাম থেকে নেয়া অক্সফোর্ডের প্রথম ৫০ লাখের চালান। এর আগেই আসতে পারে ভারত সরকারারের উপহার হিসেবে দেয়া কিছু ভ্যাকসিন। যদিও সেই টিকা কোন ব্র্যান্ড বা সংখ্যা কত তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ২৫ -২৬ তারিখে আমরা প্রথম লট পেয়ে যাব। এটা কন্ট্রাক্টে আছে। আমাদেরকে ভারত সরকারও কিছু ভ্যাকসিন উপহারস্বরূপ দেবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান করোনার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মোকাবিলায় থাকছে বিশেষ নজরদারি।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা এই টিকা দেওয়ার পর কী হবে, আমরা তা জানি না। আমরা অন্যান্য দেশে দেখেছি কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। টিকার বুথগুলো হাসপাতালের কাছে থাকলে ভালো হয়।’
৪ লাখ মানুষের জন্য ফাইজারের ৮ লাখ ডোজ আসবে। এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণে কোল্ড চেইন সীমিত আছে। মাইনাস ৭০ ডিগ্রি ভ্যাকসিন রাখার উপযোগী রেফ্রিজারেটর আনা হচ্ছে জাতিসংঘের সহায়তায়।
নীতিমালা মেনে প্রাইভেট সেক্টরে যেকোনো প্রতিষ্ঠান চাইলেই ভ্যাকসিন আনতে পারবে। তবে দামে সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকবে বলেও জানান জাহিদ মালেক।