জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিল করা নিয়ে বিএনপি আইনি লড়াইয়ে যাবে কি না তা নিয়ে বিএনপির মধ্যেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির একটি অংশ মনে করছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের যে ক্ষমতার পরিধি তাতে খেতাব বাতিল করার এখতিয়ার তাদের নেই। জামুকার দায়িত্ব হলো মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাইবাছাই করা ভূয়া এবং জাল মুক্তিযোদ্ধা সনদগুলোকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কাজেই জিয়াউর রহমানের পদক বাতিল করার এখতিয়ার জামুকার নেই। এ জন্য বিএনপির একটি অংশ এটাকে আইনিভাবে মোকাবেলা করার পক্ষে।
অন্যদিকে বিএনপির একটি অংশ মনে করে আইনি লড়াইয়ে গিয়ে আন্দোলনের পথটুকুও বন্ধ করে দেবে। বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, খালেদা জিয়ার বাড়ি নিয়ে আমরা আইনি লড়াই করে ভুল করেছিলাম কারণ সেই আইনি লড়াইয়ে বিএনপির কোনো লাভ হয়নি।
আরেকজন নেতা বলছেন যে, পঞ্চম সংশোধনীর রায়ের সময়েও আমাদের আইনি লড়াইয়ে যাওয়া অনুচিত ছিলো। আদালতে গিয়ে যে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে খালেদা জিয়া তার বড় উদাহরণ। আর এ কারণে আমাদের আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ নেই। তবে আগ্রহ থাকুক আর না থাকুক বিএনপির মধ্যে একটি অংশ এখন জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল নিয়ে আইনি লড়াইয়ের জন্য কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।