বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তি চাইলে সরকার দেখবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি চাইলে সেটা সরকার দেখবে, তিনি কি প্যারোলে মুক্তি চেয়েছেন? আর প্যারোলের কতগুলো নিয়ম আছে? কী অবস্থায় প্যারোলে মুক্তি চাইতে পারে, সেটা যদি না থাকে তাহলে প্যারোলে কীভাবে মুক্তি দেয়া যাবে?
শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে যাওয়া ও দেশটির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিএনপির মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের সঙ্গে চুক্তি করেছেন। চুক্তিটি দ্বিপাক্ষিকভাবে হয়েছে। এটা আগে ভাগে নির্ধারিত ছিল। এটা তো ওখানে গিয়ে হঠাৎ করে হয়নি, সেটা উনাদের (বিএনপি) জানা উচিত। না জানলে জেনে নেয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন তো তারা (বিএনপি) চোখে দেখেন না। এজন্য তাদের কাছে তাদের পরামর্শ দিচ্ছি, ফখরুল সাহেবের পাওয়ারের চশমা পরে উন্নয়ন দেখা উচিত। দেশের জন্য যারা বিনিময় করতে পারবে, আমরা তাদের কাছে যাব, চুক্তি করব।
ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, মামলার রায় বিএনপির বিরুদ্ধে গেলে তা বানোয়াট বলা, সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা বিএনপির গতানুগতিক পর্যবেক্ষণ। সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপানো বিএনপির পুরনো অভ্যাস। বিএনপির ইতিহাস থেকে আমরা দেখে থাকি, যখনই কোনো মামলার রায় তাদের বিরুদ্ধে যায়, সে রায়কে তারা বানোয়াট বলে বিবেচনা করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল, উপদফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।