গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) এক সদস্যের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে কারা কর্তৃপক্ষ ওই জেএমবি সদস্যের ফাঁসি কার্যকর করে।
জল্লাদ শাহজাহান ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন। পরে সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি ডাক্তার আশিফ রহমান ইভান মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
ফাঁসি কার্যকর হওয়া জেএমবি সদস্য হলো, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কানাইকরস্থান এলাকার ফজলুল হক চৌধুরীর ছেলে আসাদুজ্জামান পনির ওরফে আসাদ (৩৭)। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে তার কয়েদি নং ৫৪১/এ ছিল।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনায় জেএমবির সক্রিয় সদস্য হিসেবে বোমা বিস্ফোরণে সহযোগিতা করে আসাদুজ্জামান পনির। ওই বোমা হামলায় ৮ জন নিহত এবং বহু লোক আহত হয়। এ ঘটনায় জেএমবি সদস্য আসাদুজ্জামান পনির ওরফে আসাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একাধিক মামলা হয়। এরমধ্যে নেত্রকোনা থানায় মামলা নং- ০৮ (১২)২০০৫ ধারা-১২০ বি/৩০২/৩৪/১০৯, আদালত ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আদালতের আদেশে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসাদকে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃতদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে নেত্রকোনা থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরেকটি মামলায় ২০ বছরের কারাদণ্ড, কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলায় একটিতে ১০ বছর অন্যটিতে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা বিচারাধীন।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় ঢাকা বিভাগীয় কারা উপ-মহাপরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাসরীন সুলতানা, সিভিল সার্জন ডা. মো. খাইরুজ্জামান এবং পুলিশ কমিশনারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।