বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, “রাজধানীতে জনদুর্ভোগ ও যানজট কমাতে, কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত স্থানে পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার বসাতে হবে। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ানবাজারের কাঁচাবাজার স্থানান্তরের লক্ষ্যে, গাবতলী কাঁচাবাজার এলাকা পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান,“পাইকারি বাজার কারওয়ানবাজারকে, ঢাকার ভিন্ন পয়েন্টে, সুবিধাজনক স্থানে কিভাবে স্থানান্তর করা যায়, সেটা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি।”
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, “কারওয়ানবাজার অনেক আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখান থেকে সারা ঢাকা শহরের খুচরা বাজারগুলোতে পণ্য সরবরাহ হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যারা শাক-সবজি-মাছসহ অন্যান্য পণ্য কারওয়ান বাজারে নিয়ে আসেন তাদের জন্য এটা কষ্টকর। আর, ঢাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায়, এখান থেকে খুচরা বাজারে পন্য পৌঁছাতে যানজটসহ অনেক সমস্যা হয়। তাই পাইকারি বাজার কারওয়ানবাজারকে, ঢাকার ভিন্ন পয়েন্টে, সুবিধাজনক স্থানে কিভাবে স্থানান্তর করা যায়, সেটা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। সকলের প্রচেষ্টায় এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।”
তাজুল ইসলাম বলেন, “আমাদের লক্ষ্য থাকবে, যে সব ব্যবসায়ী কারওয়ানবাজার থেকে চলে আসবেন, তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং মানুষেরও যেন ভোগান্তি না হয়। কাউকে হঠাৎ করে চলে যেতে বললে, সে যাবে না। আর, গেলে কোথায় যাবে। তাদের জন্য জায়গাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেয়া হলে তারা অবশ্যই যাবে। কাঁচাবাজার তিনতলা বা পাঁচতলা করা যৌক্তিক নয়। পরিকল্পিত এবং দৃষ্টিনন্দন ঢাকা গড়া-ই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, “ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার এক জায়গায় হওয়া উচিত নয়। এতে করে একদিকে যেমন জনদুর্ভোগ তৈরি হবে অন্যদিকে যানজটও সৃষ্টি হবে। আমরা চাই পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় হোক। পাইকারি কাঁচাবাজারগুলো শহরের বাইরে হলেই বেশি ভালো হবে। মন্ত্রণালয়, ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্ট সকলে মিলে এলক্ষ্যে কাজ করছে। সবাইকে নিয়ে বসে করণীয় ঠিক করা হবে।”
“যত্রতত্র পাইকারি ও খুচরা বাজার না রেখে, কোন এলাকায় কতটি বাজার লাগবে, সে বিষয়ে মেয়র এবং কাউন্সিলরগণ বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করবে; জানান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।