ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রকে হোয়াইশওয়াশ করার। শক্তি আর ক্রিকেটীয় ইতিহাসে যোজন যোজন এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ হারাবে যুক্তরাষ্ট্রকে, এমন হলে স্বাভাবিক থাকত সব। কিন্তু, দিন তিনেকের ব্যবধানে বদলে গেল দৃশ্যপট। হোয়াইটওয়াশ করার পরিবর্তে বাংলাদেশের সামনে এখন এড়ানোর চ্যালেঞ্জ।
টেক্সাসের গ্র্যান্ড প্রায়ারে স্টেডিয়ামে আগামীকাল শনিবার (২৫ মে) তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়। আগের দুই ম্যাচে লজ্জার হারে ইতোমধ্যে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ।
এবারই প্রথম মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। আইসিসির সহযোগি সদস্য দেশটির বিপক্ষে শান্ত-সাকিবদের চাওয়া ছিল নিজেদের প্রস্তুত করা। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে দেশের মাটিতে সিরিজটি আশানুরূপ হয়নি। ফলে, বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটারদের ঝালিয়ে নেওয়ার ভালো সুযোগ হেতে পারত সিরিজটি। যাতে নিদারণ ব্যর্থ বাংলাদেশ। প্রথমটিতে পাঁচ উইকেটে এবং পরেরটিতে ছয় রানের হার চূর্ণ করেছে সফররতদের মনোবল। শেষ ম্যাচটি তাই শুধুই জয়ের জন্য নয়। বিশ্বকাপের আগে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার মিশন।
বাংলাদেশকে টানা দুই ম্যাচ হারিয়ে রীতিমতো উড়ছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। তৃতীয় টি-টোয়েন্টির আগে দলটির অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে দুই ম্যাচ হারিয়েছি আমরা। এখানে থামতে চাই না। শেষ ম্যাচ জিতে হোয়াইটওয়াশ করতে চাই। বিশ্বকাপের আগে এটি আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য দুষছেন ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসকে। এভাবে পরপর দুই ম্যাচে হারের পেছনে কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, স্কিলে কোনো সমস্যা নেই। মানসিকতা ও মনোবৃত্তি বদলাতে হবে আমাদের। গত দুই ম্যাচে আমরা তা করতে পারি ও ভালো খেলতে পারিনি। আমাদের জন্য খুবই হতাশাজনক। মাঝের ওভারগুলোয় আমরা প্রায় প্রতি ওভারেই উইকেট হারিয়েছি। ম্যাচ হারার মূল কারণ এটিই।’
বাংলাদেশের স্কোয়াড
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, মোহাম্মদ তানভীর ইসলাম, শেখ মেহেদি, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব।