তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ২২ উপজেলাসহ তিন ধাপে ২৫ উপজেলায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এই ধাপের ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার ওপর জোর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে দেশের ৮৭ উপজেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ হবে আজ বুধবার। দুর্গম কেন্দ্রগুলোতে গতকালই ভোটের সরঞ্জাম পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আজ সকালে ভোটগ্রহণের আগে বাকি কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার যাবে। সকাল ৮টা থেকে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে টানা ভোটগ্রহণ। ভোট উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ভোটের আগে পরে পাঁচ দিনের জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠে নেমেছে র্যাব ও বিজিবি। প্রতিটি উপজেলার মাঠে নেমেছেন একজন করে জুডিশিয়াল বা বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। আচরণবিধি দেখভাল করার জন্য এরই মধ্যে মাঠে রয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ২২ উপজেলাসহ তিন ধাপে ২৫ উপজেলায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। ইসি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তৃতীয় ধাপের ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার ওপর জোর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যদিও প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণের পর কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিতের চেষ্টা চালিয়েছিল ইসি, দ্বিতীয় ধাপের পর এখন আর সেই পথে নেই নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। সুষ্ঠু ভোটকেই প্রাধ্যান্য দেয়া হচ্ছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে। নির্বাচন ভবনে ভোটের দিন মাঠের প্রকৃত চিত্র স্বচক্ষে দেখতে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে অপ্রীতিকর ও নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের খবর পাবেন, সংশ্লিষ্ট বাহিনীর প্রধানদের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে ইসি। কেন্দ্রে জালভোট বন্ধ এবং ভোটারদের কেন্দ্রে নির্বিঘে্ন ভোট দিয়ে ঘরে ফেরা নিশ্চয়তা দিতে সতর্ক থাকবে ইসির নিয়ন্ত্রণে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সমতলে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ জন করে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৯ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। দুর্গম ও পার্বত্য এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২১ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রতি ইউনিয়নে থাকবে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ ছাড়া মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবির প্রতিটি মোবাইল টিমের সঙ্গে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ ইসি: উপজেলার প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ভোটেকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক না হওয়ায় এ বিষয়টিতে এখন আর মাথা ঘামাচ্ছে না ইসি। বিশেষ করে দুর্যোগের মধ্যে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপের ভোটে ভোটাররা কেন্দ্রমুখী কম হবেন এমনটি ধরে নিয়েই এগুনো হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সম্প্রতি এ বিষয়ে বলেন, জাতীয় বা স্থানীয় সরকার নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য কত শতাংশ ভোট লাগবে, সে বিষয়ে কোনো বিধি, প্রবিধান বা বাধ্যবাধকতা নেই। নির্বাচন কমিশন এটা নিয়ে মাথা ঘামায় না। ইসি যে কোনো হারেরই ভোটে সন্তুষ্ট হবে। তিনি বলেন, ফসল কাটা, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অনুপস্থিতির কারণকে অপ্রত্যাশিত ভোটার উপস্থিতি হয়েছে। এটা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা বা অনাস্থার বিষয় নয়। পছন্দের প্রার্থী না পাওয়া এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ভোটার উপস্থিতি কমেছে। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। বিশ্বব্যাপী নির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহ কম দেখা যাচ্ছে এবং এটি আমাদের দেশের জন্য অনন্য কোনো সমস্যা নয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৩০০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন: উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তৃতীয় ধাপে সারাদেশে ৩০০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার নিমিত্তে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় ২৭ মে থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।
থাকছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা: এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্ত্রধারী সদস্য থাকবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকছে। এরআগে কখনো এতো বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটকেন্দ্রে ছিলেন না। প্রতিটি স্বাভাবিক কেন্দ্রে অস্ত্রসহ তিনজন পুলিশ, অস্ত্রসহ আনসারের পিসি ও এপিসি থাকবেন তিনজন। অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রধারী ছয় সদস্য থাকবেন। প্রতিটি বুথ ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বনিম্ন ১০ আনসার সদস্য থাকবেন এবং ছয়টির বেশি বুথ আছে, এমন জায়গাগুলোতে একজন করে অতিরিক্ত আনসার থাকবেন। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ চার পুলিশ সদস্য থাকবেন। আনসার থাকবেন তিনজন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবেন। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায়ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটের আগের দিন ও পরদিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। গড়ে পাঁচটি সেন্টারের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল ফোর্স থাকবে। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে এই মোবাইল ফোর্স গঠন করা হবে। আর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির বদলে কোস্টগার্ড বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম সেন্টারে হেলিকপ্টারে পোলিং কর্মকর্তা ও ভোটের উপকরণ পৌঁছানো হবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ৬ প্রার্থী: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে একজন চেয়ার?ম্যানসহ বিনা প্রপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৬ জন। তাদের মধ্যে ভান্ডারিয়ার সব পদের প্রার্থী, গোসাইরহাটে ভাইস চেয়ারম্যান এবং সোনাগাজী ও দাগনভ‚ঞা উপেজলায় মহিলা ভাইস পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে প্রথম ধাপে ২৮ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে ২১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
পাঁচ থানার ওসি প্রত্যাহার: উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাঁচ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে তাদেরকে ভোট না হওয়া থানা থেকে সরিয়ে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কার্যালয়ে সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে। ইসির উপসচিব মিজানুর রহমানের সই করা চিঠি আইজিপিকে পাঠানো হয়েছে। চিঠির সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা জেলার দ্বেবিদ্বার, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও আনোয়ারা থানার ওসিকে সোমবারই রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত এবং পটুয়াখালীর দুমকী থানার ওসিকে ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত রেঞ্জ ডিআইজির সংশ্লিষ্ট থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে দায়িত্ব দেয়ার জন্য বলেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ ও আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৪১২ কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আগামী ২৯ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে বিভিন্ন জেলার নির্বাচনী এলাকায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ ও আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৪১২ কর্মকর্তাকে নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ করে মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর ৫ ধারা মোতাবেক তফসিলভুক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, নিয়োগ পাওয়া এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবশ্যিকভাবে যোগদান/রিপোর্ট করবেন, সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তার অধিক্ষেত্রে যোগদান করা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের যোগদান সংক্রান্ত প্রতিবেদন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো নিশ্চিত করবেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয়তার নিরিখে তার অধিক্ষেত্রে যোগদান করা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব বণ্টন করবেন বলেও এতে জানানো হয়।
দুই ঘণ্টা পর পর কাস্ট করা ভোটের তথ্য পাঠাতে হবে ঢাকায়: দুই ঘণ্টা পর পর নির্বাচনের তথ্য ঢাকায় পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভোট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এই নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছেন নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এতে বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের (প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার) মোবাইল অ্যাপ বা এসএমএসের মাধ্যমে দুই ঘণ্টা পর পর ভোট কেন্দ্রের কাস্ট করা ভোটের তথ্য পাঠাতে হবে।
স্থগিত হল ২৫ উপজেলায় ভোটগ্রহণ: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে গতকাল মঙ্গলবার তিনটি উপজেলার ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলা এবং কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ইভিএমের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. শরিফুল আলম এ তথ্য জানান।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ১৯টি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। উপজেলাগুলো হলো- বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, বরিশাল জেলার গৌরনদী, আগুনঝারা, পটুয়াখালী জেলার পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকী, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া, ভোলা জেলার তজুমদ্দিন, লালমোহন, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর, কাঁঠালিয়া, বরগুনা জেলার বামনা, পাথরঘাটা এবং রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা। এছাড়া প্রার্থীর মৃত্যুসহ নানা কারণে আগে আরও তিনটি উপজেলার ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। সব মিলিয়ে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে তিন ধাপে ২৫ উপজেলার ভোট স্থগিত করল ইসি। ফলে আগামী ২৯ মে ৮৭ উপজেলায় ভোট হবে।