সরকার বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছে, প্রশাসন, মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এখন তারা সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এভাবে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, তাদের প্রতিপক্ষ করে, শুধুমাত্র রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সফল হওয়া যাবে না।
শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতীকী অনশনে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, সরকার সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। এই ক্ষমতা চিরস্থায়ী হতে পারে না। ক্ষমতা অবশ্যই শেষ হবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতীকী অনশনের আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ-বিএসপিপি
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন নয়, এই বিচার ব্যবস্থা পুরোপুরিভাবে আওয়ামীলীগের করায়ত্ত হয়ে গেছে। তা প্রমাণিত হয়ে গেছে পাবনায় ৯৪ সালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ৯ জনকে আদালত ফাসির রায় দিয়েছে, ২৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বাকিদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনাটি সম্পুর্ন সাজানো ছিল। তার প্রমাণ, একজন লেখক রিন্টু লিখে গেছেন যে আওয়ামীলীগ নিজেরাই ওই ঘটনাটি ঘটিয়েছিল। শুধুমাত্র জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য। বিচার ব্যবস্থাকে রাজনীতিকি করনে সারা দেশের মানুষ অসহনীয় যন্ত্রনা ভোগ করছে।’
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারন খালেদা জিয়া একটি প্রতিকে পরিণত হয়েছেন তিনি মুক্তি পেলে মনে করবো গনতন্ত্র মুক্তি পাচ্ছে। সেই মুক্তির জন্য শুধু আইনি লড়াই এর উপর নির্ভর করলে আমাদের চলবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
সারা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ করছি। তাদের সাথে নিয়েই আমাদের আন্দোলন গড়ে তুলে এই সরকারের পতন ঘটাবো আমরা।’
অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএসপিপি’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক, শওকত মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণী চোধুরী, মহাসচিব শহিদুল ইসলাম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ডা. রুস্তম আলী মধুসহ সাংবাদিক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।