টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় বান্দরবানে প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ হতে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রাণহানী ঠেকাতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী লোকজনদের নিরাপদ জায়গায় সড়ে যেতে বলা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে প্রবল বর্ষণের কারণে বান্দরবানের থানছি রুমা সড়কসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় পাহাড় ধসের খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের সাংঙ্গু মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বাড়তে থাকায় থানছি ও রুমা উপজেলার বেশ কিছু দুর্গম জায়গায় পর্যটকদের চলাচলে সতর্কতা জারী করেছে প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী।
এদিকে প্রবল বর্ষণের কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডের অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরটি পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে। শিবিরের ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে পাশের উচু স্থানের পাহাড়ে। রোহিঙ্গা শিবিরটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে পরেছে প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গা।
এলাকায় ইউপি সদস্য আবদুর রহিম জানিয়েছেন শনিবার থেকে টানা বর্ষণের কারণে রোহিঙ্গা শিবিরে তুমব্রু খালের পানি প্রবেশ করায় সেটি তলিয়ে গেছে। রোহিঙ্গারা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছটিয়ে পড়েছে।
এদিকে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে বান্দরবানে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। সাগরে লঘু চাপের কারণে গত দু’দিন থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে বান্দরবান ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে।