বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সফলভাবে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) লিভার ট্রান্সপ্লান্ট চালু হয়েছে আর সেখানেই প্রথমবারের মত করা হয় এই সফল অস্ত্রপচারটি।
এ সময় ২০ বছর বয়সী এক যুবকের সংকটাপন্ন অবস্থায় তার মায়ের দেহ থেকে প্রায় ৬০ শতাংশ লিভার নিয়ে ওই যুবকের দেহে প্রতিস্থাপণ করা হয়। শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে লিভার ট্রান্সপ্লান্টের বিস্তারিত তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
সংবাদ সম্মেলনে হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান জানান, ২০ বছর বয়সী একজন যুবক সিরাতুল ইসলাম শুভ’র লিভার ট্রান্সপ্লান্ট অপারেশন করা হয়েছে।
এ সময় ডা. জুলফিকার রহমান খান জানান, তার নেত্বেত্বে শল্য চিকিৎসক টিমে ছিলেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মোহছেন চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিধান চন্দ্র দাস, সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইফ উদ্দিন এবং সহকারী অধ্যাপক ডা. নূর-ই-এলাহী। সিরাতুল ইসলাম লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন। ২০১৭ সালে লিভার সিরোসিস ধরা পড়লে চিকিৎসার জন্য তিনি ভারতে যান।
সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ চিকিৎসার জন্য লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার মতামত দেন। শুভ’র মায়ের বয়স ৪৯ বছর। তিনি তার ছেলেকে আংশিক লিভার দানে সম্মত হন। ১৫ জুন শুভকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ২৪ জুন মায়ের কাছ থেকে আংশিক লিভার সংগ্রহ করে তার ছেলের লিভার ট্রান্সপ্লান্টের দিন ধার্য করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ২৪ জুন ভোর ৬টা থেকে কার্যক্রম শুরু হয়।
লিভার গ্রহীতার লিভার সম্পূর্ণ ফেলে দিয়ে লিভার দাতার লিভারের ডান অংশ সফলভাবে প্রতিস্থাপিত করা হয়। এই অপারেশন সম্পন্ন করতে মোট ১৬ ঘণ্টা সময় লাগে। লিভার দাতা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। উনাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। লিভার গ্রহীতাও বর্তমানে সুস্থ আছেন। তার ব্ল্যাড প্রেসার ও রেসপিরেশন নরমাল আছে।
তিনি স্বাভাবিকভাবে খাবার খাচ্ছেন। তার বায়োকেমিক্যাল কিছু অ্যাবনরমালিটি আছে। তিনি হাই ডোজের ইমিউনো সাপ্রেশন মেডিসিন পাচ্ছেন, সেহেতু তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তার প্রতিস্থাপিত লিভার কাজ শুরু করেছে, তবে পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ করতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগে।
ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে প্রস্তুত পাকিস্তান!
ইরানের সঙ্গে সকল ক্ষেত্রে বিশেষ করে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা শক্তিশালী করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা আব্দুর রাজ্জাক দাউদ ইসলামাবাদে এক বক্তৃতায় এ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
তিনি গতকাল (মঙ্গলবার) ইসলামাবাদে ইরান-পাকিস্তান পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, তেহরানের ওপর ওয়াশিংটনের একতরফা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সহযোগিতা অতীতের চেয়ে শক্তিশালী করতে চায় ইসলামাবাদ।
তিনি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সফরসঙ্গী হিসেবে নিজের সাম্প্রতিক ইরান সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০০৬ সালে ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা বিষয়ক যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
সাক্ষাতে ইরান-পাকিস্তান পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমাদ আমিরাবাদি ফারাহানি দু’দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তেহরান সব সময় সকল ক্ষেত্রে ইসলামাবাদের সঙ্গে সহযোগিতা শক্তিশালী করতে চায়।