সংরক্ষিত মহিলা আসনে বিএনপির এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, বর্তমান শাসকগোষ্ঠী তাদের ক্ষমতা প্রলম্বিত করার পথে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে একমাত্র বাধা মনে করে। তাই মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক মামলায় তাকে কারাগারে আটক রেখে ধীরে-ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গতকাল সোমবার সংসদে কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধিতে জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আনীত এক নোটিশের ওপর দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ করেন।
এক নোটিশের ওপর দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ করেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, খালেদা জিয়ার মামলার মেরিট, তার বয়স, শারীরিক অবস্থান, জেন্ডার যেকোনো বিবেচনায় জামিন তার অধিকার। তিনি যাতে সহজে মুক্তি না পান, তাই একটির পর একটি নতুন নতুন মিথ্যা মামলা তার সামনে আনা হচ্ছে। এক-এগারোর সরকারের সময় মামলা হয়েছে দুই বৃহত্ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কমিটি করে নিজেদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলো তুলে নিয়েছে।
তিনি বলেন, পুরনো মামলার সঙ্গে বিএনপির ২৬ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নতুন করে যুক্ত হয়েছে এক লাখ মামলা। নতুন করে গায়েবি মামলা বলে এক অদ্ভুত মামলা শুরু হয়েছে নির্বাচনের আগে। যে মামলায় মৃত, পঙ্গু, বিদেশে থাকা ব্যক্তিরা আসামি, এমনকি ঘটনা ঘটার আগেই মামলা।
আইনের শাসন আর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই এমপি বলেন, আইনের শাসন নেই। ষোড়শ সংশোধনীর রায় বাতিলের কারণে তাকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। সেই রায়ে বলা হয়ছিল- ডুবন্ত বিচারবিভাগ কোনোরকমে নাক উঁচু করে টিকে আছে। তিনি আমিত্যের দ্বন্দ্বের কথা বলেছিলেন। অন্যদিকে তারেক রহমানকে যে বিচারক নিম্ন আদালতে জামিন দিয়েছিলেন তাকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়। সংবিধানের ১১৫, ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে বিচারবিভাগ এখন কার্যত সরকারের অধীনেই।