আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দুর্নীতিকে দুর্নীতি হিসেবেই দেখব। সরল বিশ্বাস বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা আমাকে জানতে হবে। তবে দুর্নীতি দুর্নীতিই। এটা অন্যভাবে দেখার উপায় নেই।’
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছিলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরল বিশ্বাসে কোনো বড় ভুল করলেও তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না। দুদক চেয়ারম্যানের এমন মন্তব্যের জবাবে আজ শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দল। সংসদে অনেক আসন আছে। রাজনীতিতে তারাই টিকে থাকবে, যারা সময়োপযোগী রাজনীতি চর্চা করবে।’
বন্যা মোকাবিলায় দল ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজকেও জামালপুর ও গাইবান্ধায় আমাদের প্রতিনিধি গিয়েছেন। আমাদের টিম বন্যাদুর্গত এলাকায় যাচ্ছে। সরকারও আন্তরিক; ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
এদিকে ‘বিএনপির সাংগঠনিক কাজে সরকার বাধা দিচ্ছে’-বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির কোথাও কোনো সভায় পুলিশ বাধা দেয়নি। সবখানে তারা সভার অনুমতি পেয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে কল্পিত অভিযোগ ছাড়া বিএনপির কিছু নেই।’
এ ছাড়াও উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাঁদের ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা যত কঠিনই হোক না কেন, আমরা প্রথমে কারণ দর্শাতে বলি। তিন সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে হবে, কেন তাঁরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গেছেন। সহযোগীদের মধ্যে যাঁরা বিদ্রোহে ছিলেন বা সহায়তা করেছেন, তাঁদের সংশ্লিষ্ট সংগঠন থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।