বন্যার কারণে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ৭২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬টি দাখিল মাদ্রাসা। উপজেলার গাবসারা ও অর্জুনা ইউনিয়নের প্রায় সবক’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলে গেছে পানির নিচে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বেশিরভাগ বিদ্যালয় বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। আবার অনেক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ও অফিস কক্ষে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি। পানির কারনে অনেক বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যালয়ের মাঠগুলোতে চলছে মাছ মারার ধুম। পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পিএসসি ,জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা বিঘিœত হচ্ছে। এদিকে বন্যায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হওয়ায় ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র।
ছোট জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক বলেন, পুরো বিদ্যালয় পানির নিচে চলে গেছে। কোন রকমে বিদ্যালয়ের কাগজপত্র সরাতে পারলেও অন্যান্য জিনিসপত্র পানির নিচেই রয়ে গেছে। কবে নাগাদ বিদ্যালয়ে যেতে পারবো তা বলা মুশকিল। গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খন্দকার মোহাম্মদ আলী বলেন, হঠাৎ করেই বন্যার পানিতে বিদ্যালয়ের অফিস ও নিচ তলার প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে হাঁটু পানি থাকায় ক্লাস কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। শনিবার অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষার ফল দেয়ার কথা ছিলো তাও সম্ভব হয়নি। পানি নেমে গেলে ফলাফল ঘোষনা ও ক্লাস কার্যক্রম চালু হবে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ পারভীন বলেন, বন্যার কারনে ভূঞপুরের ৫২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। ১০ টি বিদ্যালয়ে খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। সকল শিক্ষকদের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.শাহিনুর ইসলাম বলেন, বন্যার পানি প্রবেশ করায় উপজেলার ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬টি দাখিল মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যাকবলিত অনেক পরিবার সেখানে আশ্রয় নিয়েছে।