ব্যরিস্টার সুমন প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন। এর এক মিনিটের মাথায়- প্রিয়া সাহা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থণা করেছেন।
“”প্রিয়া সাহার বক্তব্য যদি কেউ চ্যালেঞ্জ না করে- তা হলে উনি যা বলেছেন-তাই সত্য বলে গণ্য হবে””
“”আর যদি কেউ চ্যালেঞ্জ করে উনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার ঘোষণা দেয়- তার মানে উনি খুব সহজেই প্রমাণ করবেন- উনার জীবন বাংলাদেশে নিরাপদ না””
সুতরাং কয়েক মাসের মাঝেই আমেরিকার সবুজপত্র উনার জন্য নিশ্চিত।
যদি আপনার সবুজপত্র (Green Card) না থাকে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে জীবনযাপন খুবই ব্যয়বহুল। স্বাস্থ্যসেবা -পড়ালেখা-এমনকি আবাসন সব কিছুই দূরহ। বিশাল জমিদার না হলে- সবুজপত্র ছাড়া আমেরিকায় চিকিৎসা -পড়ালেখা চালানো খুবই কঠিন একটা কাজ। উনার দুই মেয়ে আমেরিকায় পড়ালেখা করে। উনার দরকার আমেরিকায় একেবারে বৈধভাবে স্যাটলড হওয়া। সুতরাং- “”প্রিয়া সাহা যে গেমটি খেলেছে- তা উনি খুব শান্ত মাথায় বুঝে শুনেই খেলেছেন””
ক্ষমতার আর নানা সুযোগ সুবিধার ভিতর টুইটুম্বুর হয়ে থাকা দত্ত, সাহারা নির্যাতিত না। ক্ষমতার শীর্ষে তাদের আনাগোনা। তাদের সন্তানদের পড়ালেখা হয়-ইউরোপ-আমেরিকায়। বরং- “”ইনারাই অসহায় গরীব সংখ্যালঘুদের কাজে লাগিয়ে নিজেদের সবুজ ভবিষ্যত নিশ্চিত করেন””
প্রিয়া সাহারও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব যাক বা না যাক-তাতে উনার কিচ্ছুই আসে যায়না। তার দরকার দ্রুত সবুজপত্র এবং এই সবুজপত্র পাওয়ার খেলায় উনি যে সংখ্যালঘু ট্রাম্প কার্ড ব্যবহার করেছেন- তাতে উনি সম্পূর্ণরুপে বিজয়ী।
লিখেছেনঃ আরিফ মাহমুদ (ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)